ভোরের দূত প্রতিবেদক: শরতের নীল আকাশ, ভেসে চলা সাদা মেঘ আর তার নিচে সাদা শুভ্রতায় দুলতে থাকা কাশফুল—এ যেন বাংলার প্রকৃতির অনন্য সাজ। ঋতুচক্রে শরৎ এলে নদীর তীরে, মাঠে কিংবা জনপদ ঘেঁষা গ্রামীণ পথে কাশফুল ফুটে ওঠে সাদা মেঘের মতো। দূর থেকে দেখলে মনে হয় প্রকৃতি যেন তুলো দিয়ে সাজিয়েছে সবুজ প্রান্তর।
বাংলার মানুষদের কাছে কাশফুল কেবল একটি ঋতুর প্রতীক নয়, বরং আবেগেরও নাম। শৈশবের স্মৃতি, খেলার মাঠ, কিংবা শরৎ উৎসব—সব কিছুর সাথেই মিশে আছে কাশের কোমল সাদা ডগা। শরতের হাওয়ায় যখন কাশফুল একসাথে দুলে ওঠে, তখন প্রকৃতির সৌন্দর্যে ডুবে যায় মন।
সাহিত্য ও শিল্পেও কাশফুলের বিশেষ উপস্থিতি রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ থেকে আধুনিক কবিদের কবিতায় কাশফুল এসেছে শরতের আগমনী বার্তা হয়ে। ফটোগ্রাফার ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও কাশফুল এখন জনপ্রিয় অনুপ্রেরণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরতের কাশফুলের ছবি ছড়িয়ে পড়ে ভ্রমণপ্রীতি ও নস্টালজিয়ার আবেশে।
নদীর পাড়, বিল কিংবা খোলা মাঠ—যেখানেই চোখ যায়, সাদা শুভ্রতায় মেতে ওঠে প্রকৃতি। কাশফুলের এ সৌন্দর্যই যেন জানিয়ে দেয়—বাংলায় এসেছে শরৎ, এসেছে উৎসবের মৌসুম।