ভোরের দূত ডেস্ক: জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বুধবার, ১ অক্টোবর, সকাল ৯টা ১০ মিনিট) তিনি নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ইউএনজিএ যোগদানের জন্য ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির; জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক; এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।
নিউইয়র্ক সফরে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও কার্যক্রমে অংশ নেন। তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত ও ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া তিনি বন্দুকধারীর হামলায় নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানান।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত সোশ্যাল বিজনেস, ইয়ুথ অ্যান্ড টেকনোলজি শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্টে বক্তব্য রাখেন ড. ইউনূস। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং তার সঙ্গে বিশ্বের ১১টি দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধানরা সাক্ষাৎ করেছেন।
সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের আরও ঘন ঘন বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন। সবশেষ, তিনি জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনেও বক্তব্য রাখেন।