সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বাঘবেড়-গজারিয়া সড়কের গোহালিয়া খালের উপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের দাবি কাঁচা সড়কটি এবং ভাঙাচোরা নড়বড়ে কাঠের সাঁকোটি পাকাকরণের। কিন্তু এখনও তা পূরণ হয়নি। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের উত্তরের শেষ সীমানায় স্থাপিত কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। সাঁকোটি দিয়ে কোনো ভ্যান গাড়ি বা যানবাহন চলাচল করতে পারে না। মালামাল পরিবহনেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
গজারিয়া গ্রামের নাছির উদ্দিন বলেন, প্রথমে বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানানো হয়েছিল। পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়। বর্ষায় পুরোটা পানির নিচে ডুবে যায়। ব্রিজ না থাকায় হাঁট বাজারে যেতে কষ্ট হয়। রোগী হাসপাতালে নেওয়াও কষ্টকর হয়ে পড়ে। তখন ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়। যদি এখানে স্থায়ী সেতু নির্মাণ হয়, তাহলে আশপাশের সব গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।
কে.জি.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া জানান, বর্ষাকালে সাঁকো পানির নিচে ডুবে যায়। তখন ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। অনেক সময় স্কুলে যাওয়া হয় না। এতে পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ি। সরকারের কাছে অনুরোধ, যেন দ্রুত একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।
বাঘবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো দিয়ে আসা-যাওয়া করে, যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, খালের ওই পাড়ে আমাদের স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী আছে। সাঁকোটি কয়েকবার বাঁশ-কাঠ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। স্থায়ী সমাধান হলে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে পারবে।
এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, গোহালিয়া খালের উপর কাঠের সাঁকোটি বর্তমানে এলজিইডির কোনো প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে ভবিষ্যতে নির্মাণের জন্য আমরা কারিগরি রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। অনুমোদন সাপেক্ষে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ্ আল রনী বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে কাজটি ইনশাআল্লাহ দ্রুত করে ফেলা হবে।