জবি রেজিস্ট্রারের স্বেচ্ছাচারিতা যেন থামছেই না ; ২৪ কর্মকর্তা রদবদলের কিছুই জানেন না উপাচার্য

ক্যাম্পাস

জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্যের ও কোষাধ্যক্ষ (চলিত দায়িত্বে থাকা উপাচার্যের) অনুমতি ছাড়াই রেজিস্ট্রার দপ্তরের ২৪ জন কর্মকর্তা কে অভ্যন্তরীণ বদলি (কাজের দায়িত্ব পুনর্বণ্ট) করেছেন বিশ্ববিদ্যালযয়ের রেজিস্ট্রার।

গত২২ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ পরিবর্তন কার্যকর করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিদেশে যান ছুটিতে। এর পরপরই রেজিস্ট্রার এই আদেশ জারি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, “উপাচার্য স্যার ছুটিতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেজিস্ট্রার তড়িঘড়ি করে বদলির আদেশ দেন। তার এ ধরনের ক্ষমতা নেই। এটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারিতা।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাসের সাথে কথা বলে যানা যায় ,বিশ্ববিদ্যালয় আইন কিংবা সংবিধিতে রেজিস্ট্রারের এমন ক্ষমতা উল্লেখ নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫-এর ১৩(ছ) ধারায় বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি দ্বারা নির্ধারিত অথবা একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট বা ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.গিয়াস উদ্দিন বলেন, “এটি বদলি নয়, বরং অভ্যন্তরীণ দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। এর জন্য উপাচার্যের অনুমতি প্রয়োজন হয় না।” তবে তিনি স্বীকার করেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন বা সংবিধিতে এর সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি, তবে এতে আমার কোনো কনসার্ন ছিল না। উপাচার্য স্যার ছুটিতে আছেন, তিনি আদেশ দিয়েছেন কি না, সে বিষয়েও আমি কিছু জানি না।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে এবং আলোচনা চলছে। যৌক্তিক সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ। কেনো রেজিস্ট্রার এ কাজ করেছে তা আমি জানি না।”

এর আগে, রেজিস্ট্রারের সঙ্গে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে কথা বলতে গেলে অসধাচরণের শিকার হন জবির দুই সাংবাদিক। একইসাথে গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষক ইউজিসি ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়ার পর ইউজিসি প্রদত্ত শর্ত অনুযায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নিতে গিয়ে বাজে আচরনের শিকার হন। এছাড়াও, শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে রেজিস্ট্রার এর সমাধান না করে উল্টো অভিযোগকারীর উপর চড়াও হয়ে রুম থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *