প্রধান উপদেষ্টা এলডিসি উত্তরণে ডব্লিউটিওর সহযোগিতা চাইলেন

জাতীয়

ভোরের দূত ডেস্ক:  মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সহায়তা প্রদান করতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-কে আহ্বান জানিয়েছেন। ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলার সঙ্গে বৈঠকে প্রফেসর ইউনুস এ বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি আসন্ন ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে মহাপরিচালকের ভূমিকা কামনা করেন, যাতে এলডিসি থেকে উত্তরণরত দেশগুলোর সহায়তায় কার্যকর ফলাফল নিশ্চিত হয় এবং উন্নত দেশগুলোর বাজারে বাণিজ্য সুবিধা বা শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সম্ভাব্য প্রত্যাহারের কারণে তারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। মহাপরিচালক ডব্লিউটিও এসময় ড. ইউনূসকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা।

তাদের আলোচনায় আরও উঠে আসে বহুল প্রত্যাশিত ডব্লিউটিও সংস্কার এবং বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ, যেখানে সুরক্ষাবাদী নীতি এবং বিশ্বায়ন থেকে পশ্চাদপসরণের আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। প্রতিক্রিয়ায় ড. ওকোনজো-ইওয়েলা উল্লেখ করেন যে, ব্যাপক উদ্বেগ সত্ত্বেও বৈশ্বিক বাণিজ্য এখনও স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ শতাংশই এখনও ডব্লিউটিও-র নিয়ম দ্বারা পরিচালিত। ডব্লিউটিও প্রধান জেনেভাভিত্তিক এ সংস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কারকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সহায়তা চান। তিনি বলেন, ‘ডব্লিউটিওকে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। আমি আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই। আমি এখানে আপনার নেতৃত্ব চাই।’

প্রফেসর ইউনূসও ডব্লিউটিও সংস্কারের ব্যাপক প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে একমত হন এবং বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশে কার্যকর নেতৃত্ব দিতে এ সংস্থাটিকে অবশ্যই অভিযোজিত হতে হবে। চ্যালেঞ্জ গ্রহণের এখনই সময়।’ অর্থবহ পরিবর্তনের পক্ষে বাংলাদেশের কণ্ঠ তুলতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জ্বালানি ও পরিবহন বিষয়ক উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *