সোমবার রাতে যমুনা টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ দাবি করেছেন যে সরকার নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। বরং, তিনি অভিযোগ করেছেন, একটি পক্ষ তামিম ইকবালকে সামনে রেখে ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ চালাচ্ছে।
তামিমের অভিযোগের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, “সরকারের রুটিন কার্যক্রমকে যদি আপনি হস্তক্ষেপ বলেন, তাহলে আগে বুঝতে হবে যে সরকারের কতটুকু এখতিয়ার আছে।” তিনি বলেন যে সরকারি দপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে হস্তক্ষেপ বলা চলে না। যদি এখতিয়ারের বাইরে কোনো কিছু ঘটে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
উল্টো অভিযোগ করে তিনি বলেন, “অনেক জায়গায় ডিসিদের রাজনৈতিক দলের নেতারা কল দিয়েছেন, এটাকে আমি বলব অবৈধ হস্তক্ষেপ। বড় বড় নেতারা ফোন দিয়ে বলছেন যে আমাকে কাউন্সিলর পাঠাতে হবে।” তিনি এই ঘটনাকে ‘পলিটিসাইজেশন’ বলে মন্তব্য করেন।
তামিমকে সামনে রেখে সন্ত্রাসী কার্যক্রম
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অভিযোগ করেন যে নির্বাচনকে ঘিরে একটি পক্ষ তামিমকে ব্যবহার করে সুবিধা আদায় করতে চাইছে। তিনি বলেন, “তামিম ভাইয়ের পক্ষে লোকজন গিয়ে মানুষজনকে অপহরণ করছে ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ দখল করার জন্য। তারপর তামিম ভাইয়ের পক্ষে বুলবুল ভাইকে ফোন দিয়ে বলা হলো, আপনি নির্বাচন থেকে সরে যান, আপনাকে আমরা সিইও বানাই। এগুলোকে তাহলে কী বলবেন? এগুলো তো সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং সেটা করা হচ্ছে তামিম ইকবালের মতো একজন ক্রিকেটারকে সামনে রেখে। তাঁর ব্যানারটাকে সামনে রেখে এটা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন যে, তামিম সম্ভবত বুঝতে পারছেন না যে তাকে সামনে রেখে এই ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’গুলো করা হচ্ছে। আসিফ মাহমুদ আশা করেন, নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে একজন ক্রিকেটার হিসেবে তামিমের নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে স্বাগত জানালেও, কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, বরং ‘বাংলাদেশের ফ্যানদের প্রতিনিধি’ হয়ে তাকে নির্বাচনে দেখতে চান।