শামসুর রহমান হৃদয়, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক মুন্না (মুন্না চেয়ারম্যান) আজ সোমবার গাইবান্ধা জেলা কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রায় এক মাস আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও জেলগেট থেকে বের হওয়ার আগেই আরেকটি মামলায় তাঁকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালেই মুন্না চেয়ারম্যান অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এবং হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনো রহস্য রয়ে গেছে।
অপরদিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ইসিজি করে দেখা যায় সে বেঁচে নেই।
মুন্না চেয়ারম্যানের আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবার, পরিবার অভিযোগ করছে, পরিকল্পিতভাবে তাঁকে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছিল। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, এটি প্রাকৃতিক মৃত্যু।কিন্তু তারা আমাদেরকে মৃত্যুর বিষয়ে কোনো খবর দেয়নি। হাসপাতালের লোকজন আমাদেরকে দেখার পর ফোন দিয়ে বললে আমরা হাসপাতালে আসি ।
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (জেএম শাখা, শিক্ষা শাখা, ট্রেজারী শাখা, তথ্য ও অভিযোগ শাখা এবং সিটিজেন কেয়ার) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন, ময়নাতদন্ত সম্পন্নের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলায় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে—এই মৃত্যু কি শুধুই হঠাৎ অসুস্থতার ফল, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ? বিষয়টি এখন তদন্তসাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে মুন্নার মৃত্যুতে ফুলছড়ি ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকে বলছেন, “তিনি বিতর্কিত হলেও জনপ্রিয় ছিলেন, তাঁর এমন মৃত্যু কেউই প্রত্যাশা করেনি।”