ভোরের দূত ডেস্ক: রাজধানীর উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে রাজউক উত্তরা ৩য় প্রকল্পে ১৮ নম্বর সেক্টরের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসংলগ্ন সড়কে এই হামলায় জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য হাবিবুল বাশার, সিফাত, রাসেলসহ অন্তত ৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীদের ডেকে এনে মোস্তাফিজুর হাবিব সুনমের নেতৃত্বে রক্সি, অনন্ত, অপূর্ব নামের কয়েকজন মিলে তাদের ওপর বেধড়ক হামলা চালায়।
হামলার শিকার হাবিবুল বাশার বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে অভিযুক্তরা তাদের আগে থেকেই মারার হুমকি দিচ্ছিল।
“আজ আমাদেরকে দেখা করার জন্য মাঠে ডাকে। আমরা আসা মাত্রই সুনম, রক্সি, অনন্ত, অপূর্ব নামের ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে আমাদের ওপর হামলা চালায়।”
আহত অপর কর্মী রাসেল জানান, হামলাকারীরা ব্রাদার্স ক্লাবের ভেতর একত্রিত হয়ে ক্লাবের স্ট্যাম্প ও ব্যাট দিয়ে তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানান, হামলার নেতৃত্ব দেওয়া মোস্তাফিজুর হাবিব সুনম নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিলেও তিনি উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট আবাসিক এলাকায় একটি গ্যাং বাহিনী গড়ে তুলেছেন। অভিযুক্ত সুনমের বিরুদ্ধে এর আগেও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শফিকুল ইসলামকে দলবদ্ধভাবে মারধরের অভিযোগ রয়েছে, যা পিবিআই তদন্ত করছে। তবে স্থানীয় বিএনপি জানিয়েছে, অভিযুক্ত সুনমের সঙ্গে তাদের রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
এই হামলার ঘটনায় বৃহত্তর উত্তরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই তুরাগ থানা পুলিশ ও দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে তুরাগ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সুনমের বাসায় আমরা রেড দিয়েছি। তাকে পাইনি। জড়িতদের ধরতে আমরা হন্যে হয়ে খুঁজছি।”