রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উপ-উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার সঙ্গে অসদাচরণের প্রতিবাদে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির মধ্যেই আসন্ন রাকসু (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা আবার জমে উঠেছে।
এই কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। তবে এর মধ্যেই ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাকসু, হল সংসদ এবং সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি পদপ্রার্থী তাহমিদ হাসান বলেন, “আমরা চাই প্রশাসন পোষ্য কোটার নামে সব ধরনের অবৈধ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করুক। এই ধরনের প্রহসনমূলক কোটার কোনো স্থান আমাদের ক্যাম্পাসে হবে না।” তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে কেউ যদি রাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তবে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না।
তাহমিদ হাসান জানান, প্রচারণা নির্বাচনের একটি বড় অংশ এবং তারা আবার প্রচারণায় ফিরেছেন। তিনি আশা করছেন যে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পোষ্য কোটা পুনর্বহালের ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। এরপর শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক ও কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করলে পোষ্য কোটা স্থগিত করা হয়। এই উত্তেজনার কারণে নির্বাচনের আমেজ কিছুটা কমে গেলেও, তা আবারও ফিরতে শুরু করেছে।