ভারতের হিমাচল প্রদেশ বাংলাদেশের ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে বরাবরই স্বপ্নের জায়গা। বরফে ঢাকা পাহাড়, ঝরনা, নদীর মিলন আর পাহাড়ি সংস্কৃতি যেন অন্য এক জগতের আমন্ত্রণ। সেই আমন্ত্রণেই সাড়া দিয়েছেন তরুণ ভ্রমণপ্রেমী মোঃ জাকা আল শাহারিয়ার তানভীর। সম্প্রতি তিনি শিমলা, কসোল এবং মানালি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন বিশেষ সাক্ষাৎকারে। তার সেই অভিজ্ঞতার গল্প তুলে ধরেছেন অর্ণব দাশ।
পাহাড় ডাক দিলেই যাত্রা শুরু
তানভীর ছোটবেলা থেকেই পাহাড় আর প্রকৃতির প্রতি আলাদা টান অনুভব করেছেন। বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে পরিকল্পনা করেন হিমাচল ভ্রমণের। তার ভাষায়, “এত বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি একসঙ্গে খুব কম জায়গাতেই পাওয়া যায়। হিমাচল আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতার দরজা খুলে দিয়েছে।”
শিমলা: পাহাড়ি রানি
ব্রিটিশ আমলের রাজধানী শিমলা তাকে মুগ্ধ করেছে তার সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যে। মল রোডে হাঁটাহাঁটি, স্থানীয় হস্তশিল্প দেখা আর ঠান্ডা পাহাড়ি হাওয়ায় সময় কাটানো ছিল স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। শিমলাকে কেন ‘কুইন অব হিলস’ বলা হয়, তা তিনি সেখানে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন।
কসোল: প্রশান্তির গ্রাম
শিমলার পর তানভীরের গন্তব্য ছিল কসোল। পার্বতী ভ্যালির কোলে শান্ত এই গ্রাম তাকে দিয়েছে ভিন্ন স্বাদ। পাহাড় ঘেরা নদীর কলকল শব্দ, ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা আর স্থানীয় মানুষের সরলতা তার ভ্রমণকে করেছে আরও সমৃদ্ধ।
মানালি: রোমাঞ্চের স্বর্গ
তানভীরের কাছে পুরো সফরের মূল আকর্ষণ ছিল মানালি। বরফে ঢাকা পাহাড়, সোলাং ভ্যালিতে প্যারাগ্লাইডিং ও স্কিইং, হদিম্বা মন্দির ভ্রমণ আর স্থানীয় খাবারের স্বাদ—সব মিলিয়ে মানালি তার কাছে হয়ে উঠেছে রোমাঞ্চ আর অভিযানের কেন্দ্র।
ভ্রমণের শিক্ষা
তানভীর মনে করেন, ভ্রমণ শুধু বিনোদন নয়, বরং নতুনভাবে জীবনকে উপলব্ধি করার সুযোগ। তার মতে, “প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক প্রশান্তির জন্য অপরিহার্য। ভ্রমণ মানুষকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়।”
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
ভ্রমণের স্মৃতিগুলোকে তিনি ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে ধরে রেখেছেন। ভবিষ্যতে এসব নিয়ে ব্লগ ও ভিডিও ডকুমেন্টারি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, ভারতের উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর ও নেপাল ভ্রমণের পরিকল্পনাও রয়েছে তার।