চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) অনার বোর্ডে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়ার দশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তা সরানো হয়নি। গত মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তিনি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও বোর্ডে তার নাম পুনঃলিখনের উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের নেতা এম এ খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েক ডজন কর্মী চাকসু ভবনের তৃতীয় তলায় থাকা অনার বোর্ড থেকে মান্নার নাম কালো কালি দিয়ে মুছে দেন। একইদিন সংগ্রহশালায় টাঙানো তার ছবিও সরিয়ে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সেদিন ঢাকার ডাকসু ভবন থেকেও সহ-সভাপতিদের তালিকা থেকে মান্নার নাম মুছে ফেলা হয়। ওই রাতেই রাজধানীর বনানী থেকে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের দাবি ছিল— ছাত্র আন্দোলনে বিতর্কিত বক্তব্য ও ভূমিকার কারণে মান্না আর ছাত্রনেতা হিসেবে স্বীকৃতির যোগ্য নন।
তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও অনার বোর্ডে তার নাম ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। চাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, অনার বোর্ডের বিষয়টি তার জানা নেই এবং এ দায়িত্বও তার ওপর বর্তায় না। অন্যদিকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে জাসদ ছাত্রলীগ থেকে চাকসুর জিএস নির্বাচিত হন মাহমুদুর রহমান মান্না। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় তিনি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৭৯ সালে জাসদ ছাত্রলীগ এবং ১৯৮০ সালে বাসদ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে টানা দুইবার ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েন। ডাকসুর ইতিহাসে একমাত্র তিনিই দুই দফা ভিপি নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ডধারী।