ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে অনিয়মের অভিযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফজিলাতুন্নেছা হল কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অভিযোগ ওঠে, ভোটের সময় ছাত্রদল-সমর্থিত ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নারী শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের প্রার্থীরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই হলে।
এদিকে একই দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে আরেকটি ঘটনা ঘটে। সেখানে অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহানকে আটক করা হয়। সকাল ১১টার দিকে হলের ৪২৪ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করেন হল প্রভোস্ট। ওই কক্ষটিতে পূর্বে থাকতেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান মুরাদ, যারও ছাত্রত্ব নেই বলে জানা গেছে।
আটক হাফিজুর রহমান সোহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ৩৬তম ব্যাচের (২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
নির্বাচনের দিনে এসব ঘটনায় ভোটের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ফজিলাতুন্নেছা হলে ভোট স্থগিত হওয়া ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে অবৈধ অবস্থান নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা চলছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশন এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।