প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বৈঠক

জাতীয়

ভোরের দূত প্রতিবেদক: নবগঠিত মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সদস্যরা গতকাল (বুধবার) প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল।

বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একটি বিশদ প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। মিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, এই প্রকল্পটি তিনটি ধাপে ২০৫৫ সাল নাগাদ সম্পন্ন হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং দেশের জিডিপিতে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে বলে আশা করা যায়।

প্রধান উপদেষ্টা শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘ব্লু ইকোনমি’ গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, মহেশখালী শুধু একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র নয়, বরং এটি একটি নতুন শহরের জন্ম দেবে, যা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি করবে।

প্রফেসর ইউনূস গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণা এবং এ বিষয়ে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। ওটা নিয়ে চিন্তাও করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা, ফাইন্ডিংস নেই।” তিনি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

এছাড়াও, বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং ইকো-ট্যুরিজম পার্ক তৈরির বিষয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বনভূমি সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর জোর দেন।

বৈঠকে মিডার সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও সারোয়ার আলম, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব সাইফুল্লাহ পান্না উপস্থিত ছিলেন।


নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *