মোঃ রেজাউল ইসলাম শাফি, কুলাউড়া: সিলেটবাসীর বহুল প্রত্যাশিত নতুন দুটি ট্রেন চালু ও ঢাকা-সিলেট রেলপথ সংস্কারসহ ৮ দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল থেকে কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনকে প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং সাংবাদিকরা অংশ নেন।
আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে রেলওয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যাত্রীসেবামূলক এই যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন—নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে তারা পুনরায় কঠোর কর্মসূচিতে নামতে বাধ্য হবেন।
কুলাউড়া জংশন স্টেশনে হাজারো মানুষ ব্যানার-ফেস্টুন হাতে দাঁড়িয়ে কর্মসূচি পালন করেন । সেনাবাহিনী ও পুলিশ অবস্থান ধর্মঘটে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। একইসঙ্গে জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সিলেটবাসীর ৮ দফা দাবি:
১️. ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-কক্সবাজার রুটে নতুন দুটি ট্রেন চালু
২️. আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডাবল লাইন নির্মাণ
৩️.লোকাল ট্রেন চালু এবং বন্ধ স্টেশনগুলো পুনরায় চালু
৪️.কুলাউড়া জংশনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি
৫️.আন্তঃনগর ট্রেনের ঢাকা অভিমুখী যাত্রা প্রত্যাহার
৬️.সিলেট রুটে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধ
৭️. যাত্রী ভোগান্তি কমাতে অতিরিক্ত বগি সংযোজন
৮️.যাত্রীদের সুবিধার জন্য আধুনিক সেবা চালু
আন্দোলনকারীরা বলেন, “এ দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে সিলেট অঞ্চলের কোটি মানুষের যাতায়াত ভোগান্তি দূর হবে এবং দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটবে।”