ভোরের দূত ডেস্ক: খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র জনতা’র ডাকে জেলাজুড়ে টানা দ্বিতীয় দফায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে। আজ শনিবার ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অবরোধের কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কে হাজারো পর্যটক আটকা পড়েছেন।
অবরোধকারীরা খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশ মুখসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পিকেটিং করছেন।
চেঙ্গী ব্রিজ ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা, চেঙ্গী স্কয়ার, নারায়ণ খাইয়া মুখসহ খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা, মহালছড়ি, ও পানছড়ির অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো।
অবরোধ সমর্থকরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, গাছের গুঁড়ি ও ইট ফেলে এবং টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন।
ঢাকা ও দূরপাল্লার নৈশ কোচের অনেক গাড়ি বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে। রামগড়, মানিকছড়ি ও গুইমারা উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টেও পিকেটিং হচ্ছে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে পর্যটকবাহী যান চলাচলের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জেলার দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলেও শহরকেন্দ্রিক গণপরিবহন সীমিতভাবে চালু রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হলেও তা সরিয়ে দিতে কাজ চলছে এবং বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার থেকে জুম্ম ছাত্র জনতা নামে সংগঠনটি বিক্ষোভ শুরু করে। এই সংগঠনের ডাকে গত বৃহস্পতিবার আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালিত হয়েছিল। গতকালের সমাবেশ থেকে আজকের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এই আন্দোলনে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্রপরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুবফোরাম সংহতি প্রকাশ করেছে।