মশিউর রহমান নাদিম, কিশোরগঞ্জ : আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে দলীয় সভাপতি প্রার্থী জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছেন।
সভায় তিনি বলেন, দীর্ঘ দেড় যুগের ফ্যাসিবাদী সরকারের দুঃশাসনের পর তৃণমূল পর্যায়ে প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ সুযোগে তিনি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মূলত দলের ভেতরে বিভাজন নিরসন, যোগ্য নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন ও দলের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে।
তিনি বলেন, বর্তমান সভাপতি শরীফুল আলম নিঃসন্দেহে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তবে অতিরিক্ত খবরদারি ও পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের কারণে সিনিয়র ও ত্যাগী নেতারা উপেক্ষিত হচ্ছেন। এতে দল বিভক্ত হয়ে পড়ছে, যা জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে।
রুহুল হোসাইন আরও বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের সাত জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব ও ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে বর্তমান সভাপতি জেলার সব নেতাকর্মীর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না। ফলে কিছু পক্ষপাতমূলক মহলের তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যা অনিয়ম বাড়াচ্ছে। জেলা সদরে বসবাসকারী সভাপতি নির্বাচিত হলে পরিস্থিতি ইতিবাচক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি এক নেতা এক পদ নীতির বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “নেতৃত্ব বিকাশের স্বার্থে এক পদ রেখে অন্য পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। সম্প্রতি যুগ্ম সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলের পদত্যাগ তার একটি দৃষ্টান্ত।”
তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের যোগ্যতা ও দক্ষতার যথাযথ মূল্যায়ন, আইনের শাসন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির আলোকে সততা, স্বচ্ছতা, উন্নয়ন ও অপরাধ দমনকে ভিত্তি করেই তিনি দলের নেতৃত্ব দিতে চান।
সভায় তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ ও তৃণমূলে গণতন্ত্র চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার মতো সংগঠনে রূপান্তরিত করতে চাই।
রুহুল হোসাইন বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি এবং আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী। তিনি ছাতা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।