ভোরের দূত

মানুষের শরীরে শূকরের ফুসফুস!

স্বাস্থ্য

সন্নিবেশ: চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো জিনগতভাবে পরিবর্তিত শূকরের ফুসফুস মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করেছেন। যদিও এই সার্জারি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে এবং রোগী জীবিত ছিলেন না (মস্তিষ্ক-মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল), তবু গবেষকদের মতে এটি ভবিষ্যতের জন্য বড় পদক্ষেপ।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিস্থাপিত ফুসফুস ৯ দিন পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। তবে প্রথম দিন থেকেই অঙ্গটিতে প্রদাহ ও তরল জমার প্রবণতা দেখা দেয়। তিন দিনের মাথায় রোগীর প্রতিরোধ ব্যবস্থা ফুসফুস আক্রমণ করতে শুরু করে। তবুও এতদিন ধরে অঙ্গটি জীবিত থাকা চিকিৎসা জগতে এক অভাবনীয় ঘটনা।

বিশ্বজুড়ে অঙ্গ সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিদিন গড়ে ১৩ জন মানুষ মারা যান অঙ্গের অভাবে। এই প্রেক্ষাপটে শূকর থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন বা জেনোট্রান্সপ্লান্টেশন গবেষকদের কাছে বড় সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

এর আগেও শূকরের কিডনি (২০২১) এবং হৃদপিণ্ড (২০২২) মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। তবে ফুসফুস প্রতিস্থাপন আরও জটিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সফলভাবে ব্যবহারযোগ্য করতে হলে শূকরের অঙ্গগুলোতে আরও জিনগত পরিবর্তন আনতে হবে এবং রোগীর শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ওষুধ তৈরি করতে হবে।

এখনই এ প্রযুক্তি সাধারণ চিকিৎসায় ব্যবহারের মতো নয়। তবু চিকিৎসকরা আশাবাদী, ধাপে ধাপে গবেষণা এগোলে একদিন হয়তো অঙ্গের অভাবে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *