সোলায়মান, নাগরপুর: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নে সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গায় জবরদখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে গয়হাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগ নেতা জাকির তালুকদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানান, ওই জায়গা ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৩৩৫৭ নং দাগের খালের অংশ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংরক্ষিত ভূমির সন্নিকটে অবস্থিত।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, জাকির তালুকদার কয়েক বছর ধরেই ওই খাসভূমি জবরদখল করে ব্যবহার ও বিক্রি করে আসছেন। পারভেজ নামের এক স্থানীয় বলেন, “পতিত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাবেক বানিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আশাভাজন হওয়ায় জাকির ভূমি দস্যুতা ও জবরদখল চালাচ্ছেন। ইউপি সদস্য হওয়ার সুবাদে আওয়ামী লীগের প্রভাবে কৃষি জমির মাটি কেটে অবৈধভাবে বিক্রি করা হয়েছে।”
অন্য এক স্থানীয় দোকানী টিটু জানান, “গতকাল গয়হাটা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয় সংলগ্ন খাস খতিয়ানভুক্ত খালের জায়গা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গার উপর জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ সরকারি জায়গা।”
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে জাকির তালুকদার ঘর নির্মাণের কথা স্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, “জায়গার কাগজ আছে, আমার বাবার নামের জায়গার সকল কাগজ এবং খাজনার রশিদ আছে।” আওয়ামী লীগের পদবীর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কোনো পদবী ছিল না, তবে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল।”
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপ ভৌমিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “গতকালই খবর পেয়েছি। জমির দাবিদার ও ঘর উত্তোলনকারী সবাই কাগজপত্র নিয়ে এসেছিলেন। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোন ক্রমেই সরকারি স্বার্থবিরোধী কাজ কাউকে করতে দেবো না। আগামী ১০ দিনের মধ্যে কাগজপত্র যাচাই করে পুরো জায়গাটা পরিমাপ করা হবে এবং কোন অবৈধ স্থাপনা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেছেন এবং বলেছেন, যদি সরকারি জমি সত্যিই দখল করা হয়ে থাকে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও উচ্ছেদ কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।