নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ডে এক সিএনজি ড্রাইভারের উপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিটে ফেরদৌস আহমদের ছোট ছেলে মো. আব্দুল হালিম (২২)-কে গাড়ি থেকে নামিয়ে অন্তত ১৫ জন সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা ধারালো দা ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও প্রহার করে। হালিমের দুই পায়ে ১৯টি কোপ, একটি চোখে দা-এর আঘাত এবং গুলির আঘাতে হাতের মাংসপেশি মারাত্মকভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়। হাতের পৃষ্ঠদেশেও গুরুতর জখম হয়।গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত হালিমের পরিবার জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকার সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।এলাকাবাসী জানান, হামলার ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজন সন্ত্রাসী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলায় জড়িতরা অধিকাংশই অস্ত্র মামলার আসামি। এদের মধ্যে জাকের (৩৯), দেলোয়ার (৩৮), এনাম (৩৮), শাহজাহান (৩২), শাহ জালাল (৩০), মাহফুজ (৩৮), মাহফুজ (৪২) নামীয় আসামি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এছাড়া আরও অন্তত ১০ জন এ ঘটনায় অংশ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”