হোসেন শান্ত, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায়, ডালিয়া সংলগ্ন শেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ, এই ব্যারেজ বাংলাদেশের মধ্যে একটি সুইচ গেইট ব্যারেজ ।
এই সুইচ গেইট তিস্তা ব্যারেজ এরশাদ সরকারের
আমলে হয়েছিল, ১৯৯০ সালে এই তিস্তা ব্যারেজের কাজ পুরো পুরি শেষ হয়।
শেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এই যায়গায় প্রতি নিয়তই লোক জন আসা যাওয়া এবং ঘোরাঘুরি করে থাকেন।
সবচেয়ে মানুষ বেশি হয় শুক্র বারের দিন। শুক্রবারে ছুটির দিন থাকায় অনেক দূর দুরন্ত থেকে মানুষ এই তিস্তা ব্যারেজ দেখতে আসে ।
এখানে ঘোরাঘুরি করার মত তেমন ভালো কোন জায়গা নেই। শুধু আছে অবসর একটা বাড়ি আর আছে ছোট একটা পার্ক ও ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম।
আর বেশ কিছু গাছ পালা এবং আরো কিছু আঁকা বাঁকা রাস্তা ঘাট এবং বাগান, ভালো লাগে এখানে আসলে প্রকৃত এলাকা যেহেতু তাই মানুষ এখানে ঘুরতে আসে।
ঈদ, বৈশাখী মেলা, ১৬ ডিসেম্বর ১৪ ই ফেব্রয়ারি ও বিভিন্ন দিবসের দিন মানুষ বেশি গুরতে আসে এই তিস্তা ব্যারেজে।
ব্যারেজ সুরক্ষিত ও মানুষের নিরাপদ দেওয়ার জন্য এখানে পুলিশ ক্যাম আনসার ক্যাম্প ও বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে।
এরা সর্বদাই নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। এই শেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ গত ১৭ মাস আগে শুনা যায় তিস্তা মহা পরিকল্পনা
র বাজেট হয়েছে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিলো ২৪ সালের প্রথম থেকে ।
কিন্তু প্রতিবেশি দেশ ভারতে র কারনে নাকি কাজ শুরু হয় নাই, আরো শুনা গেছে যে এই তিস্তা মহা পরিকল্পনার কাজ নাকি চীন দেশ করবে ।
এই কাজ বাস্তবায়ন হলে এই তিস্তা পাড়ের মানুষ অনেক টা ক্ষতিগ্রস্তর হাত থেকে রেহাই পাবে কারন যখন বন্যা হয় তখন
এই লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায়, যে তিস্তা বাসি রয়েছে তারা অনেক টা ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে পড়ে যায়।
তাদের বাড়ি ঘরে পারি উঠে তাদের জীবন যাপন করতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। যখন বন্যার হয়, ঠিক মতো তারা বাজার করতে, আসতে পাড়ে না চিকিৎসা করতে আসতে পাড়ে না পানির কারনো।
এমন সময় পাড় করতে হয় এই তিস্তা পাড়ের মানুষকে, এই তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এই বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাদের আর প্রতি বারের বন্যার মতো বিপদের সম্মুখীন হতে হবে না। এলাকা বাসি চায় তিস্তা মহা পরিকল্পনা টা অতি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।
তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কিছু দিন আগে লাখ লাখ মানুষ ২ দিন ব্যপি আনদোলন করেছে এই
তিস্তা পাড়ে।
তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয় প্রতি বছরি বন্যার সময়। গত এক বছর আগে কয়েক জন চিন দেশ থেকে লোক এসে দেখে গেছে।
তারা বলছে যে খুব দ্রুত এই খানে কাজ শুরু হবে আপনার চিন্তা করবে না। এবং এই কাজ টা নাকি চীন দেশের কাছে দিয়েছে সরকার ।
এই তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে চরের অনেক জমি রেহাই পাবে মানুষের অনেক উপকার হবে যদি এই কাজ টা বাস্তবায়ন হয়।
কারন এই তিস্তা পাড়ের মানুষ গুলো বন্যার সময় খুব আতঙ্কে থাকে তাদের মনে ভয় কাজ করে যে কখন যেনো ঘর টা ভেঙে যায়।
এমন সময় পাড় করতে হয় তাদের গত বারে বন্যায় এবং এই বারের বন্যায় ও অনেক মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের বাড়ি ঘর তলিয়ে গিয়েছিলো গত ২৪ সালের বন্যায়।
বন্যা বাসি দের দেখার মতো কেউ থাকে না তখন। তিস্তা মহা পরিকল্পনা যদি খুব দূত বাস্তবায়ন হয় তাহলে লাখ লাখ ঘর বাড়ী নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে।
তিস্তা পাড়ের মানুষ চায় তারা তারি এটি বাস্তবায়ন দেখতে এবং তাদের অনেক সমস্যা য় পড়তে হয় বন্যার সময়ে।
কিছু দিন আগে পানি সম্পদ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলছে ২০২৬ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথমেই কাজ শুরু করা হবে।
কিন্তু এই তিস্তা পাড়ের অসহায় নিপীড়িত মানুষের প্রাণের দাবি এই তিস্তা মহা পরিকল্পনা নিয়ে আর যেনো কোনো রাজনীতি না হয়, এবং আর যেনো সময় না দেওয়া হয়।
খুব দ্রুত যেন কাজ শুরু করা হয় এটাই দাবি আসতে পাড়ের মানুষের।