বিশেষ প্রতিনিধি: দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রবিবার রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে এক নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “সাম্প্রতিক কয়েক দিনের ঘটনায় আমি বলব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপের দিকে গেছে। আমরা দ্রুতই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।” তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ না করার এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনের আহ্বান জানান।
নির্বাচন, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি
উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে এবং মাথা ঠাণ্ডা রেখে আইনি প্রক্রিয়ায় সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন নির্বাচন শান্তি ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং অতীতের খারাপ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ভুলে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, সমাজ থেকে দুর্নীতি ও মাদক কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মাদক, জুয়া ও মেলার অনুমতি বন্ধ থাকবে। সড়ক, পরিবহন ও বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ করে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে পালনের জন্য গত বছরের মতো এ বছরও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ও পুলিশ প্রশিক্ষণ
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই নামে কোনো অভিযান না থাকলেও এর কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। প্রত্যেক থানায় ফ্যাসিস্টদের তালিকা রয়েছে এবং যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানা থেকে লুট হওয়া বা হারানো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানও ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী বলেন, জুলাই-আগস্টের পর নতুনভাবে গড়ে তোলা পুলিশের চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে জাতীয় নির্বাচন।
প্রসঙ্গত, আসন্ন নির্বাচনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে, ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।