ভোরের দূত ডেস্ক: ২০১৮ সালে ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার বদলা সাত বছর পর নিল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ‘ঘরের মাঠ’ হয়ে ওঠা শারজায় তাদের ৩-০ ব্যবধানেই হোয়াইটওয়াশ করার এই ঐতিহাসিক অর্জনের কৃতিত্ব দলের সকল খেলোয়াড়কে দিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক জাকের আলি।
ম্যাচ শেষে দলের সামর্থ্য নিয়ে জাকের বলেন, “সবাই সামর্থ্যবান। সবাই ভালো খেলোয়াড়। আমাদের শুধু বিশ্বাস রাখতে হবে আমরাই সেরা এবং আমরা বিশ্বমঞ্চেও ভালো পারফর্ম করতে পারি। আমি নিশ্চিত, দলের সেই সামর্থ্য আছে।”
এশিয়া কাপে সুপার ফোরে উঠেও হতাশাজনকভাবে পাকিস্তানের কাছে হেরে ফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। জাকের মনে করেন, এই সিরিজ জয়ের মাধ্যমে সেই হতাশা কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা গেছে। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই, হতাশাজনক এশিয়া কাপ শেষে খেলোয়াড়রা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা যেখানে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটা দেখতে সত্যিই দারুণ।”
দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জাকের ফিল্ডিংয়ের বিশেষ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “আমরা সবচেয়ে বেশি খুশি ফিল্ডিং নিয়ে। বোর্ডে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে জেমস প্যামেন্ট এসেছেন এবং আমরা ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছি।” তিনি বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, “আমাদের বোলাররাও দারুণ কাজ করেছে; তারা ব্যাটারদের কাজ সহজ করে দিয়েছে এবং আমাদের ব্যাটাররাও তাদের কাজটি করেছে।”
ঐতিহাসিক এই হোয়াইটওয়াশ নিয়ে জাকের বলেন, “এটা দারুণ অনুভূতি, কারণ তাদের দারুণ কয়েকজন স্পিনার আছে। আমরা সেজন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম… সকল কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের। তারা সবকিছু খুব ভালোভাবে মনে রেখেছে এবং নিজেদের কাজটি দারুণভাবে করেছে।”
তিনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে দলকে সমর্থন জানানোর জন্য সমর্থকদেরও ধন্যবাদ জানান।