ইলন মাস্ক: বিশ্বের প্রথম অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের ধনকুবের মহাকাব্যিক সম্পদের মালিক

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক এবার আরেকটি মহাকাব্যিক মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নিয়ার্স ট্র্যাকার অনুযায়ী, ইলন মাস্ক বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের নেটওয়ার্থের মালিক হয়েছেন। বুধবার (স্থানীয় সময়) বিকেলে তার মোট সম্পদের পরিমাণ এই অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের অঙ্কে পৌঁছায়।

গত ডিসেম্বরেই তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে উঠেছিলেন। বর্তমানে মাস্ক দ্বিতীয় স্থানে থাকা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি এগিয়ে আছেন এবং বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্ধেক পথ পেরিয়েছেন।

বুধবার টেসলার শেয়ারের দাম প্রায় ৪% বাড়লে মাস্কের সম্পদে আরও ৯.৩ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়। এপ্রিলের আয়ের প্রতিবেদনে মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই)’-র প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে এসে টেসলার দিকে বেশি মনোযোগ দেবেন। এই ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ায় এবং টেসলার শেয়ারের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়।

বর্তমানে টেসলার বাজার মূল্য আবার সর্বোচ্চ স্তরের কাছাকাছি পৌঁছেছে। মাস্কের ১২% শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯১ বিলিয়ন ডলার।

টেসলার বাইরে মাস্কের রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সও তার সম্পদ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান উৎস। আগস্টে একটি প্রাইভেট টেন্ডারে কোম্পানির মূল্য দাঁড়ায় ৪০০ বিলিয়ন ডলারে, যা গত ডিসেম্বরে ছিল ৩৫০ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে, টেসলার বোর্ড একটি নতুন রেকর্ড পে-অ্যাকেজ প্রস্তাব করেছে। এটি কার্যকর হলে মাস্কের হাতে অতিরিক্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলারের শেয়ার আসতে পারে, যদি কোম্পানি নির্ধারিত কঠিন পারফরম্যান্স লক্ষ্য পূরণ করতে পারে।

গত পাঁচ বছরে ইলন মাস্ক অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সম্পদ বৃদ্ধি করেছেন। ২০২০ সালের মার্চে তার সম্পদ ছিল মাত্র ২৪.৬ বিলিয়ন ডলার। এরপরের বছর, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্রথমবার প্রায় ১৯০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হন। একই বছরে সেপ্টেম্বরে ২০০ বিলিয়ন, নভেম্বরে ৩০০ বিলিয়ন এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। আর এখন, ২০২৫ সালে, তিনি প্রথমবারের মতো ছুঁলেন অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের উচ্চতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *