ভোরের দূত ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ‘প্রশাসনের ভেতরে এখনও আওয়ামী লীগের লোকজন সক্রিয়ভাবে ঘাপটি মেরে আছে বলেই দেশে জুলুম-নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না।’ তিনি মনে করেন, পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই দুর্বৃত্তরা এখনও অরাজকতা চালাতে পারছে।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের হামলায় আহত ছাত্রদল নেতা মো. দোলন ভূঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দোলন ভূঁইয়াকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী অভিযোগ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে দেশের সকল অপকর্ম পরিচালনা করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী তাঁকে কিছু মানুষকে হত্যা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রিজভীর ভাষ্যমতে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘দরকার হলে হেলিকপ্টার থেকে বোমা ফেলো’, যা কোনো সভ্য দেশের শাসনব্যবস্থা হতে পারে না।
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা সরকার প্রায় ১,৪০০ জন মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চেয়েছেন। আহত ছাত্রদল নেতা দোলন ভূঁইয়ার বিষয়ে রিজভী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দলের সাধারণ কর্মীরাও রেহাই পাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে এবং পত্রপত্রিকায় ছবি প্রকাশিত হওয়ার পরও অপরাধীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বালু মহাল, ঘাট দখল করে সমাজে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। প্রশাসনের ভেতরে আওয়ামী লীগের লোক বসে থাকাতেই তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই হামলার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। অপরাধীর পেছনে প্রভাবশালী কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনকে আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি উপস্থিত ছিলেন।