সন্নিবেশ: মঙ্গলে জীবনের খোঁজে এক বড় পদক্ষেপ নিল নাসা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পারসিভিয়ারেন্স রোভার গত বছর জেজেরো ক্রেটারের একটি শুকনো নদীর তলদেশ থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করেছিল, তাতে জীবনের সম্ভাব্য চিহ্ন বা বায়োসিগনেচার পাওয়া গেছে।
“সাফায়ার ক্যানিয়ন” নামে পরিচিত সেই নমুনায় মাটির কাদা, জৈব কার্বন, সালফার, ফসফরাস ও লৌহজাত খনিজ ধরা পড়েছে। এগুলো পৃথিবীতে মাইক্রোব বা অণুজীবের মতোই। বিশেষত ভিভিয়ানাইট ও গ্রেইগাইট নামে দুটি খনিজ শনাক্ত হয়েছে, যা পৃথিবীতে অনেক সময় জীবাণুর কার্যকলাপের মাধ্যমেই গঠিত হয়।
তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই খনিজগুলো জীবাণু ছাড়াও অন্য প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হতে পারে। তাই এটাকে নিশ্চিত প্রমাণ বলা যাবে না। তবে এতদিনের মধ্যে মঙ্গলে জীবনের অস্তিত্ব নিয়ে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার।
এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ কারণ ধারণা করা হয়েছিল প্রাচীন শিলাতেই জীবনের চিহ্ন থাকতে পারে। কিন্তু তুলনামূলকভাবে নবীন স্তরেও এমন সম্ভাবনা পাওয়া মানে মঙ্গল অনেক দিন বা অনেক পরে পর্যন্ত বাসযোগ্য থাকতে পারে।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনো এটি শুধু সম্ভাবনা। আরও বিশদ বিশ্লেষণ আর ভবিষ্যতের মিশনই নিশ্চিত করতে পারবে, মঙ্গলে সত্যিই এক সময় জীবনের অস্তিত্ব ছিল কি না।
তথ্যসূত্র: NASA