স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট এর প্রার্থী সাবিকুন নাহার তামান্না সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১০ হাজার ৮৪টি। ফল ঘোষণার সময় তার নাম উচ্চারণ হতেই সিনেট ভবনে শ্লোগান ওঠে— “হিজাব হিজাব”। এ দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
এ প্রসঙ্গে নিজের ফেসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এনসিপির সাবেক নেত্রী নীলা ইসরাফিল। তিনি ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্রার্থীদের জয় এবং হিজাব নিয়ে তোলপাড় প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন—
“ডাকসু ভোট শেষ হইল, কী দেখি? শিবিরের প্যানেল মারল ল্যান্ডস্লাইড! ভাইস প্রেসিডেন্ট হইল সাদিক কায়েম, জিএস হইল ফারহাদ, এজিএস হইল মোহিউদ্দিন। মোট ২৮ টা পদের মধ্যে ২৩টা ঝুইলা নিল! কিন্তু ব্যাটা, জিতার পরেও শান্তিতে বইসা দেশ গোছাইতেছে না, হিজাব হিজাব কইরা বাজারের হাঁকডাক দিতাছে।”
নারী নির্যাতন, বেকারত্ব ও সামাজিক সংকটের কথা উল্লেখ করে নীলা লেখেন, “হিজাব দিয়া কি বৃষ্টির পানি ধইরা রাখবি, না গ্যাস বিল কমাইবি? দেশে প্রতিদিন ধর্ষণ হইতাছে, মামলা ঝুলে আছে, অথচ এরা হিজাব খাটাইতে ব্যস্ত।”
তিনি আরও লিখেন, “যে দেশে নারীর সম্মান নাই, সেই দেশে গায়ে কাপড় চাপাইতে হয়। ভাই, আগে নিজের মাথা কাপড়ে মুড়াইস, তারপর মেয়েদের মাথায় চাপাইবি। দেশের গরিব খাইতে পায় না, তরুণরা চাকরি পায় না, আর তুই ধর্মের নামে রাজনীতি করিস! এইটা ডাকসু না, এক্কেবারে ‘হিজাবসু’।”
নারীদের ওপর জোর করে পোশাক চাপিয়ে দেওয়া যাবে না বলে সতর্ক করে নীলা ইসরাফিল বলেন, “বাংলার মাটিতে জঙ্গি ঠেলাঠেলি চলবে না। মেয়েদের গায়ে জোর কইরা কাপড় চাপাইতে চাইলে আগে নিজের মুখটা কাপড়ে মুড়াইস।”