বিশেষ প্রতিনিধি: চেক জালিয়াতির একটি মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার ঢাকার নবাবগঞ্জে অবস্থিত তার ব্যক্তিগত রিসোর্ট ‘ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রিন পার্ক’ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শামসুদ্দোহাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ
পুলিশে থাকাকালে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করে ‘বরপুত্র’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন শামসুদ্দোহা। বিশেষ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। বিভিন্ন নদ-নদী খননকাজের টেন্ডার থেকে শত শত কোটি টাকা কমিশন নেওয়া, নদী দখল করে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানা থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এবং শত বিঘা জমির ওপর খামারবাড়ি গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এর আগে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত বছরের জুলাই মাসে ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার এবং তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চাকরি করার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি ২১ কোটি ৫ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এছাড়া, সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।