ভোরের দূত ডেস্ক: পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, প্রেম, দয়া ও মানবতার শিক্ষক হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জাতির জন্য যে দিশা দেখিয়ে গেছেন, তা চিরকালীন। তাঁর জন্মদিন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন নবী, মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনন্য আনন্দের দিন। এই দিনটি শুধুমাত্র একজন মহান নেতার জন্মদিন নয়, বরং এটি সেই আলোকবর্তিকা, যে আলোর মধ্যে মানবতা আজও পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে।
প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়ালে। তাঁর জীবন ও কর্ম বিশ্ব মানবতার জন্য শিক্ষা, প্রেরণা ও উদাহরণ। তিনি যে বাণী প্রচার করেছেন, তা হলো শান্তি, সম্প্রীতি এবং মানবাধিকারের রক্ষক। তাঁর শিক্ষাগুলি কেবল মাত্র মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি সমন্বিত জীবন ব্যবস্থার নির্দেশনা দেয়।
নবী (সা.) জীবনদর্শন আমাদের শিখায় কিভাবে সততা, মানবতা, সহানুভূতি এবং ন্যায় বিচারের মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ তৈরি করা যায়। তাঁর শিখানো ধর্মের মধ্যে এলেম (জ্ঞান) এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ রয়েছে। নবীর জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত সাধারণ, স্বচ্ছ এবং তিনি সকলের জন্য উদাহরণ স্বরূপ।
ঈদে মিলাদুন নবী উপলক্ষে আমাদের উচিত তাঁর আদর্শকে অনুসরণ করা এবং মানবতার সেবা তথা সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ছিল কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদিত।
এই শুভদিন উপলক্ষে, আমাদের উচিত প্রার্থনা করা যেন আমরা তাঁর প্রদর্শিত পথে অগ্রসর হতে পারি। আত্মসমালোচনা ও আত্মউন্নয়নের মাধ্যমে আমরা যেন আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারি।
আসুন, আমরা ঈদে মিলাদুন নবী উপলক্ষে নবী (সা.) এর স্বরূপকে উপলব্ধি করি এবং মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করি। এটি আমাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ ও আলোকিত করবে এবং নবীর শিক্ষা আমাদের পথপ্রদর্শক হবে।
লেখক:
মো : মামুন রানা
সাবেক ছাত্রদল নেতা,
অনলাইন একটিভিস্ট ও হায়ার এডুকেশন কনসালট্যান্ট।