উপজেলা প্রতিনিধি, মিরসরাই: মিরসরাইয়ে ৯০টি মণ্ডপে হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, শুভ্র কাশফুল আর শিউলি ফুলের গন্ধ জানান দিচ্ছে শরতের আগমন। শরতে উদযাপিত হয় সনাতনী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
এবার চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ৯০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রাম। কেননা, মাত্র একটি গ্রামেই একসঙ্গে বসেছে ১০টি পূজামণ্ডপ। এর মধ্যে তিনটি মণ্ডপে প্রতিমাবিহীন ঘটপূজা হয়ে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে প্রতিবছর পূজার আয়োজনেও যুক্ত হয় নতুন মাত্রা। এ কারণে প্রতিমা ও আলোকসজ্জায় চলে নীরব প্রতিযোগিতা। আশপাশের এলাকা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো দর্শনার্থী ভিড় জমায় এই গ্রামে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রতিমাশিল্পীরা রংতুলির আঁচড়ে দেবী ও অন্যান্য প্রতিমায় শেষ শৈল্পিক ছোঁয়া দিতে ব্যস্ত। পাশাপাশি মণ্ডপগুলোতে চলছে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জার জোর প্রস্তুতি।
প্রতিমা শিল্পী অসোক পাল জানান, ইতোমধ্যে প্রতিমায় মাটির কারুকাজ শেষ হয়েছে। এরপর রঙের মাধ্যমে প্রতিমা পাবে মায়ের রূপ। এবার ওরিয়েন্টাল ও পোশাক সাজানীর মাধ্যমে দু’ভাবে প্রতিমা তৈরি করেছি।
দেওয়ানপুর সর্বজনীন শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রম পূজামন্ডপের সভাপতি বাবুল সেন বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রামে ১০টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন ও বিপুল দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ।”
মিরসরাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মোহন দে জানান, “উপজেলায় ৯০টি পূজামণ্ডপ থাকলেও দেওয়ানপুর গ্রামে ১০টি পূজা হওয়ায় দর্শনার্থীদের বাড়তি আগ্রহ থাকে। প্রতিমা ও আলোকসজ্জার জন্যই এই গ্রাম আলাদা পরিচিতি পেয়েছে।”
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান ও জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আবদুল হালিম বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা উপলক্ষে প্রতিটি মন্দিরে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি। প্রতিটি মন্দিরে থাকবে আনসার ও গ্রাম পুলিশ। এছাড়াও পুলিশের বিশেষ টিম টহলে থাকবে।