আকিমুল ইসলাম সাজু, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ: ধানের প্রধান ক্ষতিকর পোকা মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কোটচাঁদপুরের কৃষকরা। মাঠের ধানে আক্রমণ শুরু করায় কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ৬ হাজার ১৮২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে এ বছর । টানা দুই মাস বৃষ্টির কারণে বিগত বছরের তুলনায় ৪ হেক্টর কম। গত বছর এ উপজেলায় আমন ধানের চাষ হয়েছিল ৬ হাজার ১৮৬ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার ঘাগা তালসার গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন বলেন, “ধানের শীষ বের হওয়ার আগেই মাজরা পোকার আক্রমণে অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। অনেক নামিদামি কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করছি তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না এখনই যদি প্রতিকার না হয়, তাহলে ফলন অনেক কমে যাবে।”
অন্য কৃষক শ্রী অধীর কুমার জানান, “আমরা নিয়মিত জমি পরিদর্শন করি। কিন্তু হঠাৎ করেই মাজরা পোকার আক্রমণ বেড়ে গেছে। আগের বছরের মতো এবারও যেন ধান চাষে লোকসান গুনতে হয়।”
কামারকুন্ডু গ্রামের কৃষক আবুবক্কর বলেন, “ধান চাষ করে পরিবারের খরচ চালাই। কিন্তু মাজরা পোকার আক্রমণে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কীভাবে প্রতিকার করব, বুঝতে পারছি না।”
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ধানে প্রতিবছরই মাজরা পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। তবে এ বছর তেমন আক্রান্ত হয় নাই। তবে যেসব জায়গা আক্রান্ত হয়েছে, সেখানে আমারা কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিষেধক হিসেবে আমরা চাষিদের ধানের জমিতে ডাল পোঁতার পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ, ধানের জমিতে উপকারী আর অপকারী পোকা উভয়ই থাকে। জমিতে ডাল পোঁতা থাকলে একটা পাখি দিনে ১৫ শ থেকে ২ হাজার ডিম খেতে পারে। এরপরও যদি পোকা নিয়ন্ত্রণে না আসে, সে ক্ষেত্রে আমরা চাষিদের ওষুধ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’