মো. আতিকুর রহমান, ঢাকা: রওজাতুল জান্নাত—এক তরুণী, যিনি নিজের কর্মদক্ষতা, আত্মবিশ্বাস আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন স্বপ্নপথে। পারিবারিক প্রয়োজন মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই তিনি হাতে তুলে নেন উপার্জনের পথ। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় কর্পোরেট চাকরির মাধ্যমে। র্যাংস গ্রুপ, জেমস গ্রুপ, ইনোভা গ্রুপের মতো শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তার কর্মজীবনে শক্ত ভিত তৈরি করে দিয়েছে।
করোনাকালে কর্পোরেট চাকরির গণ্ডি ছাড়িয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু করেন তিনি ব্র্যান্ড প্রমোটর হিসেবে। প্রথমদিকে এটি ছিল একটি সাধারণ কাজ। কিন্তু জান্নাতের মেধা, ব্যক্তিত্ব ও যোগাযোগ দক্ষতা তাকে দ্রুত আলাদা করে তোলে। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি হয়ে ওঠেন দেশসেরা ব্র্যান্ডগুলোর আস্থার প্রতীক। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় দুই শতাধিক নামীদামী ব্র্যান্ডের হয়ে কাজ করেছেন, যা তার পেশাগত সাফল্যের এক বিরল নজির।
শুধু ব্র্যান্ড প্রমোটিং নয়, জান্নাতের আরেকটি বিশেষ পরিচয় তিনি একজন দক্ষ উপস্থাপিকা। কিছুদিন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ উপস্থাপিকা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি এনটিভির জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো “আলো ছড়াবে উপস্থাপনায়” প্রতিযোগিতায় সেরা বিশে জায়গা করে নেওয়া তার প্রতিভার বহুমাত্রিকতা প্রকাশ করে।
বর্তমানে ব্র্যান্ড প্রমোটর হিসেবেই জান্নাতের মাসিক আয় প্রায় এক লক্ষ টাকা—যা তার বয়সী অসংখ্য তরুণ-তরুণীর কাছে বিস্ময়কর ও অনুপ্রেরণামূলক।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে রওজাতুল জান্নাত বলেন—
“আমার স্বপ্ন শুধু দেশে সীমাবদ্ধ নয়। আমি চাই বিদেশে গিয়ে একটি বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে। সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে নিজেকে নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমার লক্ষ্য হলো এমন এক জায়গায় পৌঁছানো, যেখান থেকে আমি শুধু নিজের ক্যারিয়ার নয়, বরং দেশের তরুণদের জন্যও অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে উঠতে পারি।”
রওজাতুল জান্নাতের এই যাত্রা প্রমাণ করে—সাহস, পরিশ্রম আর অধ্যবসায় থাকলে যেকোনো জায়গা থেকেই সাফল্যের সোপান তৈরি করা সম্ভব। তিনি শুধু একজন ব্র্যান্ড প্রমোটর নন, বরং এক স্বপ্নবাজ তরুণী, যার চোখে জ্বলছে বিশ্বজয়ের দীপ্তি।