আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক সহায়তা বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর নৌযানগুলোর মধ্যে একটি, ‘মিকেনো’, ইতোমধ্যেই গাজার জলসীমায় প্রবেশ করেছে। বহরের লাইভ ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নৌযানটি গাজার উপকূলে পৌঁছে যায়।
তবে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে এটি আটক হয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে বহরের আয়োজক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে।
এর আগে অন্তত ২৬টি নৌযান গাজার দিকে রওনা হয় বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ তথ্যানুসারে, ইসরায়েলি কমান্ডোদের অভিযানে বেশ কয়েকটি নৌযান আটক হওয়ায় বর্তমানে কার্যকর নৌযানের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪-এ। এর মধ্যে কয়েকটি নৌযান গাজার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে জানা গেছে।
এই মানবিক মিশনের লক্ষ্য ছিল গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কাছে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। আয়োজকরা বারবার জানিয়েছেন, এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী পরিচালিত।
তবে ইসরায়েল অতীতে যেমনটি করেছে, এবারও গাজার দিকে যাওয়া ত্রাণবহরগুলোর ওপর কড়া নজরদারি ও সামরিক হস্তক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল দাবি করে, গাজায় অস্ত্র প্রবেশ ঠেকাতে তাদের এই অবরোধ জরুরি। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে এবং গাজার উপকূলে থাকা বহরের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।