সাদুল্লাপুরের পাকারমাথা বাজারে বেড়েই চলছে অপরাধ; প্রশাসনের নজরদারি দাবি এলাকাবাসীর

অপরাধ সারাদেশ

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের জুনিদপুর গ্রামের পাকারমাথা বাজারে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাজারে প্রতিদিনই কিছু স্থানীয় ও বহিরাগত ব্যক্তি মাদক, গাঁজা এবং অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন ও বিক্রয় করছে। মাতাল অবস্থায় উচ্চস্বরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা, ঝগড়া-মারামারি, হুমকি-ধামকি এবং দোকানপাটে চুরি-ছিনতাই সহ অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনোর মতো কার্যক্রম সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা নিরাপদে বসবাস করতে পারছেন না।

আমার ঠিকানা বাংলাদেশ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ মাসুম পারভেজ জানিয়েছেন, বাজারে এই ধরনের কার্যক্রমের কারণে যুব সমাজ বিপথে যাচ্ছে। “উঠতি বয়সের যুবক-যুবতীরা মাদক ও জুয়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ছে, যা তাদের শিক্ষা ও মনোযোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশুদেরও ভুল দৃষ্টান্ত থেকে প্রভাবিত হতে দেখা গেছে,” তিনি বলেন। স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন যে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাজারের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখা আরও কঠিন হবে।

এলাকার বাসিন্দারা প্রকাশ করেছেন যে, প্রতিদিনের মারামারি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বাজারের সাধারণ ক্রেতা, বিক্রেতা এবং পথচারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। বাজারটি গ্রামাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের বিশেষ নজরদারি জরুরি হয়ে পড়েছে।

সংগঠনটির সভাপতি মোঃ মাসুম পারভেজ সহ এবং এলাকার অন্যান্য দায়িত্বশীল নাগরিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন যে, বাজারের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে তিনটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা সহ পাশাপাশি মাদক, জুয়া, হুমকি-ধামকি ও অন্য অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধে ত্বরিত অভিযান পরিচালনা করা হোক। স্থানীয় জনগণকে সচেতন করে বাজারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাজারে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য আবেদনপত্রের সাথে স্থানীয়  গণসাক্ষর সংযুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে পাকারমাথা বাজারে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

সভাপতি মোঃ মাসুম পারভেজ  আরও বলেন, “প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ বাজারে শান্তি ফিরিয়ে আনবে এবং এলাকাবাসী নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *