মাসুদুর রহমান রুবেল সাভার (ঢাকা) : রাজধানী ঢাকাতে (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ১৭৫ ভরি স্বর্ণের মধ্যে ২৩ ভরি স্বর্ণ সাভার থেকে উদ্ধার করেছে মিন্টু রোডের ওয়ারী জোনের গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন মিন্টু রোডের ওয়ারি জোনের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) ফজলুল করিম।
এর আগে শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব সাহার মালিকানাধীন দোকান থেকে এই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দোকান মালিকসহ তার এক কর্মচারী এবং অপর একজন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— মানিকগঞ্জ জেলা সদরের ঝিটকা ইউনিয়নের মদন হালদারের ছেলে গণেশ (৩৫), সাভার নামাবাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব সাহা (৪৮) এবং তার কর্মচারী ইমন (২৮)।
ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির জানান, গত ১৯ আগস্ট সকালে ৫ জন কর্মচারী নিয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণ প্রাইভেটকারযোগে উত্তরা থেকে তাতীবাজারে যাচ্ছিলেন। পথে তেজগাঁও এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি প্রাইভেটকার ও একটি নোয়াহ গাড়ি তাদের গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণ লুট করে নেয়। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা হলে এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণসহ নগদ ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে।
ডিবি পুলিশ জানায়, মামলাটি মিন্টু রোডের ওয়ারী জোন তদন্তভার নেয়ার পর একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাভারের নামাবাজারে অভিযান চালিয়ে গণেশ নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ডাকাতদের কাছ থেকে সরাসরি স্বর্ণ ক্রয়ের কথা স্বীকার করেন।
পরবর্তীতে গণেশের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পাশের দোকান সঞ্জীব স্বর্ণালয়ে অভিযান চালিয়ে ২৩ ভরি ১২ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দোকান মালিক সঞ্জীব সাহা ও তার কর্মচারী ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিন্টু রোডের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফজলুল করিম জানান, গ্রেপ্তার গণেশের দোকানের কোন নাম নেই। তিনি ডাকাতদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে তা গলিয়ে ধাপে ধাপে সঞ্জীব সাহার কাছে বিক্রি করতেন। ইতোমধ্যে তিনি ৭৫ ভরি স্বর্ণ বিক্রি করার কথাও স্বীকার করেছেন।