শাপলা: সৌন্দর্যের চিরন্তন প্রতীক

শিল্প ও সাহিত্য

অনলাইন ডেস্ক: সৌন্দর্যের সংজ্ঞা যদি ফুলের সঙ্গে মেলানো হয়, তবে শাপলা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে সুন্দর ফুল। এটি শুধু বাংলাদেশের জাতীয় ফুল নয়, বরং গ্রামীণ জীবনের প্রতিদিনের দৃশ্যে ভর করে থাকা এক অনন্য সৌন্দর্য। প্রকৃতির সরলতা আর শান্তির সঙ্গে শাপলার সম্পর্ক অটুট।

পুকুর, হাওড়, বিল কিংবা নদীর পাড়—যেখানেই জল, সেখানেই শাপলার অস্তিত্ব। ভোরের আলোয় পানির উপর ভেসে থাকা শাপলার রূপ মুগ্ধ করে যে কাউকে। শাপলার সাদা, লাল ও বেগুনি রঙ যেন আলাদা আলাদা গল্প বলে, আবার প্রতিটি রঙেই লুকিয়ে থাকে জীবনের সরল সৌন্দর্য।

শাপলা শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, মানুষের জীবনেও এর ব্যবহার বহুমাত্রিক। শাপলার শাক রান্না হয়ে ওঠে গ্রামীণ রান্নাঘরের অঙ্গ, আবার শিশুরা এর ডাঁটা দিয়ে খেলা করে। এভাবেই শাপলা হয়ে ওঠে গ্রামীণ জীবনের অঙ্গীভূত অংশ।

সাহিত্য ও শিল্পকলায় শাপলার অবস্থানও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কবিতা, গান কিংবা চিত্রকর্মে বারবার উঠে এসেছে শাপলার নাম। এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে ভালোবাসা, সৌন্দর্য, পবিত্রতা ও প্রেরণার প্রতীকী বার্তা।

জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলা আমাদের পরিচয়েরও বাহক। এটি শুধু একটি ফুল নয়, বরং বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রকৃতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও স্নিগ্ধতা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো এই শাপলা।

তাই বলা যায়, সৌন্দর্যের সংজ্ঞা যদি ফুলে বাঁধা হয়, তবে শাপলাই সবচেয়ে সুন্দর। এটি শুধু চোখের প্রশান্তিই আনে না, মনকেও করে স্নিগ্ধ। ছোট ছোট ইচ্ছে পূরণে যেমন ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকে, তেমনি প্রকৃতির সৌন্দর্যকে পূর্ণতা দেয় শাপলার মতো সরল অথচ অনন্য ফুল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *