আমিনুল ইসলাম খন্দকার, বান্দরবান: বান্দরবানের রুমা উপজেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্পট কেওক্রাডং থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে পর্যটকরা কেওক্রাডং যেতে পারবেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবু তালেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় দীর্ঘদিন ধরে কেওক্রাডং পাহাড়চূড়ায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এ ছাড়া পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা কেওক্রাডং ছাড়াও থানচি উপজেলার রেমাক্রী ও নাফাখুমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।দুর্গাপূজার ছুটি সামনে রেখে পর্যটক ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ এবং আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ২ ও ৩ এপ্রিল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ বা বম পার্টি) সদস্যরা রুমা-থানচি সড়কে ব্যাংক ডাকাতির পর রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন।
পরে ধাপে ধাপে রোয়াংছড়ির দেবতাখুম, থানচির রেমাক্রি এবং রুমার বগালেক পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তবে কেওক্রাডংয়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।
অবশেষে আগামী ১ অক্টোবর থেকে পর্যটকরা আবারও দেশের পঞ্চম শৃঙ্গ কেওক্রাডং ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো লিখিত প্রজ্ঞাপন এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
বান্দরবান জেলা আবাসিক হোটেল-মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন বলেন, গত ৬ জুন রুমার বগালেক এবং থানচির তিন্দু ও তুমাতুঙ্গি এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এর পর থেকেই পর্যটকের আগমন বেড়েছে। কেওক্রাডং খুলে দেওয়া হলে পর্যটক প্রবাহ আরও বাড়বে। তবে নাফাখুম খুলে দেওয়ার দাবিও জোরালো হয়েছে।