ভোরের দূত ডেস্ক: nরাজনীতির মাঠে দলবদল নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সানগাছা ইউনিয়নে একদল বিএনপি কর্মীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত এই যোগদান অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ সাড়া পড়ে।
বিএনপির সাবেক ইউনিয়ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা ও সাবেক সদস্য প্রার্থী মাসুদ রানার নেতৃত্বে এই কর্মীরা জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। তিনি বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরেই জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছি। তাদের আমল-আখলাক, চরিত্র, নীতি-নৈতিকতা অন্য যেকোনো সংগঠনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। তাই সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকতে আমরা জামায়াতের সহযোগী ফরম পূরণের মাধ্যমে এই দলে যোগ দিয়েছি।”
যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ সদর থানা সেক্রেটারি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। তিনি যোগদানকারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আল্লাহ যদি কবুল করেন, আগামীর সংসদ হবে কোরআনের সংসদ। ন্যায়নীতি ও ইনসাফের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে।”
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদর থানা এইচআরডি সম্পাদক মাওলানা মো. শাফিউল ইসলাম শাফি, ইউনিয়ন আমির ডা. মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা মো. বাদশা আলম, এবং ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. নুর আলম শেখসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা মনে করছেন, বিএনপির মতো একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের কর্মীদের জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান শুধু দলীয় রাজনীতির পরিবর্তন নয়, বরং একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক বার্তা। মাসুদ রানা স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তার প্রভাবও অস্বীকার করা যায় না। ফলে এই যোগদান ভবিষ্যতে ইউনিয়নের রাজনৈতিক সমীকরণে পরিবর্তন আনতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, রাজনীতি তো মানুষের আদর্শগত অবস্থান প্রকাশের মাধ্যম, তাই আদর্শগত কারণে দলবদল অস্বাভাবিক কিছু নয়। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে।
সব মিলিয়ে সানগাছা ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীদের জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আগামীর রাজনীতিতে এর প্রভাব কেমন হবে—সেটাই এখন দেখার বিষয়।