ভোরের দূত ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন যে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য আর কোনো বিকল্প পথ নেই, একমাত্র উপায় হলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তিনি বলেছেন, ‘কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না।’
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে শহীদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “যতই সংস্কার করি, বুদ্ধিজীবী মিলে কৌশল আবিষ্কার করার চেষ্টা করি, নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারবো না।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী এবং স্বাধীনতাকামী। তারা বারবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্য হচ্ছে সেই লড়াইয়ে মানুষ বারবার হোঁচট খেয়েছে। যতবার হোঁচট খেয়েছে ততবার উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে।”
তিনি কিছু কিছু ব্যক্তি বা সংগঠনের সমালোচনা করেন যারা জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে দাবি করেন এবং বলেন, গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি সমগ্র সময় ধরে লড়াই করেছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক না দিলে ধানের শীষ বাতিল করার হুমকি দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল হুমকী দিচ্ছেন, ধমক দিচ্ছে যে, তাদেরকে অমুক মার্কা দেওয়া না হলে, আমাদের ধানের শীষ প্রতীকও বাদ দিতে হবে। ভাই আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাঁধা দিইনি। কোন মার্কা তোমাদের দেবে তা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। অযথা বিএনপির ধানের শীষকে নিয়ে টানাটানি কেন?”
তিনি দাবি করেন, ‘ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য’ এবং সারাদেশে ধানের শীষের স্লোগান উঠেছে। কিন্তু এই প্রতীককে আটকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, কারণ ধানের শীষ জিতে গেলে বাংলাদেশ নিয়ে চক্রান্তকারীরা চলে যেতে বাধ্য হবে।