কবি নজরুলের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি

সাম্য, দ্রোহ ও প্রেমের কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ছাত্রলীগ।

রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত কবির কবরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়, হল ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ

পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামের দুখু মিয়া নামে পরিচিত নজরুল বাংলাদেশে এসেছেন অনেকবার। কৈশোরের অনেকটা সময় কেটেছে ময়মনসিংহ জেলার দরিরামপুরে। নজরুলের বাংলাদেশে বেশী সময় কেটেছে কুমিল্লার দৌলতপুরে। সেখানে এক বিখ্যাত মুসলিম পরিবারের মেয়ে নার্গিসকে কবি বিয়ে করেন এবং পরবর্তীতে কবি বিয়ে করেন হিন্দু পরিবারের তরুণী প্রমীলা দেবীকে।

শেষ জীবনে বাকশক্তিহীন ছিলেন আমাদের প্রেরণার কবি। ১৯৭২ সালের ২৪শে মে অসুস্থ কবিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁকে জাতীয় কবি হিসাবে ঘোষনা করেন বঙ্গবন্ধুর সরকার। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১৯৭৬ সালের শোকের মাসের এদিনে (১২ ভাদ্র) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই/ যেন গোর থেকে মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই’-মসজিদের পাশে সমাহিত করার জন্য এই গানের মধ্য দিয়ে তিনি তার সুহৃদ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধ করে গেছেন। তা মনে করে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।